পলিথিন ও খড়কুটো দিয়ে মোড়ানো জীর্ণ শীর্ণ ঘরগুলো!
রাজারহাট সদর উপজেলা থেকে ৬ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে রিকসা কিংবা পায়ে হেঁটে যেতে হবে। এক সময় ১ নং ইউনিয়ন নামে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে তিস্তা নদীর অপ্রতিরোধ্য ভাঙ্গনে ভিটেমাটি যা ছিল সবকিছুই বিলীন হয়ে গেছে। নদীর গর্ভের হতদরিদ্র মানুষগুলো হয়ে গেছে বাস্তহীন।
বলছিলাম মোমেনা বেগমের কথা। বয়স তার ৬২। স্বামী বয়স্ক বৃদ্ধ। একসময় কাজ করে খেতেন এখন বয়সের ভারে পারেন না। তিস্তা নদীর কোল ঘেষে তার ঘর। লাগামহীন ভাঙ্গনে শেষ ভিটেমাটিটুকু হারিয়ে এখন অন্যের ভাড়া জমিতে দিন কাটাচ্ছেন। জমির মালিক সময় বেধে দিয়েছেন, যে সময়ের মধ্যে নিজের একটা ব্যবস্থা চলে যেতে হবে। আর যে সময়টুকু এখানে অবস্থান করবেন সেটার বিনিময় পুষিয়ে দিতে হবে।
আমাদের সবচেয়ে কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজ হল এসব অভাবী হতদরিদ্র মানুষদের খুঁজে বের করে তালিকা করা।
মোমেনা বেগমকে আরও জিজ্ঞেস করলাম শেষ কবে গোস্ত কিনে খেয়েছেন? উত্তরে বললেন, “আমার ঘর নদী নিয়ে গেলো, গোস্ত শেষ কবে খেয়েছি মনে নেই রে বাপজান। ”
OECD থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মাংস খাওয়া দেশ। প্রতি বছর এদেশের একজন মানুষ গড়ে মাত্র ৩.৪ কেজি মাংস খান। কিন্তু এটা গড় পরিমাণ।
প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, ভারত যা নিরামিশাষী অধ্যুষিত একটি দেশ – সেখানে মানুষ বছরে জনপ্রতি ৩ কেজি মাংস খেতে পারে। আফ্রিকার গরীব দেশ হিসেবে পরিচিত ইথিওপিয়া ৪.৫৪ কেজি মাংস খায়। ঋণভারে জর্জরিত পাকিস্তানেও প্রতি বছর গড় গোশত খাওয়ার পরিমাণ ১২.৭ কেজি ।
বাংলাদেশে মাংস খাওয়ার পরিমাণ এত কম কেন?
এর পেছনের কারণ হচ্ছে দারিদ্রতা এবং দ্রব্যমূল্যের উর্দ্বগতি।
মুসলিম প্রধান দেশ এবং প্রচুর গরু পালন সত্ত্বেও বাংলাদেশিরা বছরে গড়ে মাত্র ৯০০ গ্রাম গরুর মাংস খেতে পারেন।
আপনি আমি যারা এই লেখাটা পড়ছি তারা হয়তো মাসে এক-দু বার গরুর মাংস খেতে পারি কিন্তু গরীব মানুষদের জন্য মুরগির পা-চামড়া আর কম দামী মাছই হচ্ছে একমাত্র প্রাণীজ প্রোটিনের যোগানদাতা।
বাজারে যে আগুন দাম, খেয়ে বেঁচে থাকাটাই যেখানে দায়, সেখানে মাংস কিনে খাওয়াটাতো বিলাসিতা। আমাদের দেশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা বছরে একবার মাংস খেতে পারে – শুধু ঈদুল আযহাতে!
আপনি কি চান না এমন মানুষেরা আপনার কুরবানির মাংস দিয়ে ঈদের দিনটাতে অন্তত গোশত-ভাত খাক?
সরোবরের “উদহিয়া প্রজেক্ট” এ কারণেই করা। বাংলাদেশের প্রায় ২৬টি জেলাতে আমাদের লোকাল পার্টনার আছেন যারা তাদের গ্রাম-ইউনিয়নের হতদরিদ্র মানুষদের তালিকা করে। এই লোকাল পার্টনাররা কুরবানির ঈদের আগে গরু-ছাগল কিনবেন, যত্ন করে রাখবেন, খাওয়াবেন। ঈদের দিন সলাতের পরে পশুগুলো কুরবানি করবেন এবং ওই গরীব মানুষগুলোর মাঝে মাংসগুলো বিতরণ করে দেবেন।
কাদের কাছে গোশত গেল সেটা সরোবর আপনাদের ইমেইল করে জানিয়ে দেবে।
উল্লেখ্য এখানে ক্রেতাদের কাছে কোনো মাংস পৌঁছানো সম্ভব হয় না যেহেতু আমরা দেশের দুর্গম এলাকাগুলোতে – উত্তরবঙ্গের চর, নদীভাঙন এলাকা, পাহাড়ি অঞ্চল – এসব এলাকাতে পশুগুলো কুরবানি করি।
আপনি কি চাননা এমন মানুষেরা আপনার কুরবানির মাংস দিয়ে ঈদের দিনটাতে অন্তত গোশত-ভাত খাক?
ফরম টি পূরণ করুন/Fill-up the Form
সাধারণ জিজ্ঞাসা
এই ফর্ম টা পূরণ করতে হবে। এরপর ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে আমরা আপনার দেয়া ই-মেইল অথবা ফোন নাম্বারে (WhatsApp/SMS) পেমেন্ট এর বিস্তারিত জানিয়ে দেব ইন শা আল্লাহ।
পেমেন্ট ডিটেইলস পাওয়ার পরে ২০ জুন, ২০২৩ এর মধ্যে অবশ্যই পেমেন্ট করতে হবে। ব্যাংক ট্রান্সফার এর ক্ষেত্রে যদি eft বা bftn বা রেমিট্যান্স হয় সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে তা যেনো আমাদের ঘোষিত ডেডলাইনের মধ্যে একাউন্ট এ জমা হয়।
পেমেন্ট করার পর ব্যাংক ডিপোজিটের ছবি, ব্যাংক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ট্রাঞ্জেকশনের স্ক্রিনশট, বিকাশ এর ক্ষেত্রে ট্রাঞ্জেকশন নাম্বার বা TRX ID আমাদের দিতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই ট্রাঞ্জেকশন এর তারিখ, এমাউন্ট স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
পেমেন্টের পরে অবশ্যই আমাদের জানাতে হবে, অন্যথায় আপনার কুরবানির ভাগটি আমরা নিশ্চিত করতে পারব না।
যারা পেমেন্ট করবেন এবং ফর্মটা পূরণ করবেন তাদের কুরবানির দায়িত্ব আমাদের। যারা ইমেইল এড্রেস দেবেন তাদের আমরা ইমেইলে কুরবানির একটা আপডেট ঈদের পরে জানিয়ে দেব ইন শা

এবারে সরোবরের উদহিয়া প্রজেক্টে গরুতে প্রতি ভাগ ৯৫০০ (সাড়ে নয় হাজার) টাকা এবং ছাগল/ভেড়া প্রতিটি ১২,৫০০ (বারো হাজার পাঁচশ) টাকা।
যেভাবে অর্ডার করবেন –
১/ অর্ডার করতে পারেন সরাসরি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে- https://www.shorobor.biz/udhiya/
২/ মেসেজ করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করে।
৩/ কল বা মেসেজ দিতে পারেন 01750180055 অথবা, 01861005555 – এই হোয়াটসএপে
৪/ মেইল করতে পারেন – [email protected]
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের নেক আমলগুলো কবুল করুন।