বাংলাদেশের সরকারের মালিকানাধীন চিনিকলগুলো আখ থেকে চিনি উৎপাদন করে। এগুলো কেমিক্যাল প্রসেসিং এর মাধ্যমে তৈরি হলেও সেই কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয় পরিমিত মাত্রায়। হাইড্রোস জাতীয় কিছু ব্যবহার করা হয় না।
বাজারে যেসব সাদা চিনি দেখা যায় এগুলো আমদানীকৃত অনেক ক্ষেত্রেই এগুলোর উৎস আখ নয়, সুগার বিট। এই চিনিগুলোকে সাদা এবং হালকা করার জন্য কিছু বাড়তি কেমিক্যাল প্রসেসিং করা হয়।
অপরদিকে আমাদের দেশি চিনিকলের চিনিতে ফেরাস অক্সাইডের বেশ ভালো একটা পরিমাণ থেকে যায়। এইজন্যই মূলত চিনিটাকে লাল দেখা যায়।
সুশ্রী সাদা চিনির বদলে দেশি আখ থেকে তৈরি লাল চিনি খাওয়াটা মন্দের ভালো। এতে কেমিক্যাল প্রসেসিং যেমন কম আবার বাড়তি কিছু আয়রন পাওয়া যাচ্ছে যা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
যদিও বলে রাখি…
আমাদের মতো শহুরে মানুষদের জন্য চিনি যত কম খাওয়া যায় তত ভালো। মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা করলে ফল খাওয়া ভালো। কোনো কিছুকে মিষ্টিস্বাদ দেওয়ার জন্য মধু ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ।
তবে, এটা বুঝি যে আমাদের খাদ্যাভ্যাস একদিনে বদলে চিনি ছেড়ে দেওয়া কঠিন। কিন্তু তাও চেষ্টা করি। প্রতিদিন চিনির পরিমাণ আস্তে আস্তে কমিয়ে ফেলি।
আর সাদা চিনির বদলে লাল চিনি কিনি। দাম একটু বেশি পড়লেও এর মাধ্যমে আখচাষী এবং দেশি শিল্পকারখানাকে সাহায্য করা হবে। শরীরের জন্যও অপেক্ষাকৃত ভালো হবে।