সরোবরের লবঙ্গ গুড়ার বিশেষায়িত নাম হলো কারানফুল। খাবারের স্বাদ বাড়ানর জন্য মূলত লবঙ্গ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্যুপ এবং তরকারি রান্নায় লবঙ্গের ব্যবহার অনেক। এছাড়াও লবঙ্গ গুড়ার অনেক ওষধি গুণাগুণ রয়েছে। শরীরের নানা ব্যাথা এবং হজমের সমস্যায় লবঙ্গ গুড়া দারুন সমাধান হতে পারে।
উপাদানঃ
লবঙ্গ তে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসসরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, এবং ভিটামিন এ,ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন বি-১২ ,ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, এবং ভিটামিন কে
লবঙ্গ গুড়ার (কারানফুল ) স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
১। দাতের ব্যাথা নিরাময়ে লবঙ্গ গুড়ার ভুমিকা অনস্বীকার্য। লবঙ্গ তে রয়েছে অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরী উপাদান যা শরীরে প্রবেশ করলে কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হয়। যার ফলে দাত ব্যাথা কমে যায়।
মাড়ির ক্ষয় নিরাময়ের জন্যও লবঙ্গ গুড়া দারুন সমাধান হতে পারে।
২। বমি ভাব সমস্যা রয়েছে যাদের তারা লবঙ্গ খেলে ভালো সমাধান পেতে পারে।
৩। সর্দি-কাশি ও ঠান্ডার চিকিৎসায় লবঙ্গ গুড়ার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আছে। অ্যাজমা, গলা ফুলে উঠা ইত্যাদি সমস্যায় লবঙ্গ গুড়া কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে।
৪। মাথা ব্যাথা কমাতে ও মাথা যন্ত্রনা কমাতে লবঙ্গ গুড়ার অবদান অনেক।
৫। ব্রণের চিকিতসায় লবঙ্গ গুড়ার ভুমিকা অনেক। যারা ব্রনের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লবঙ্গ গুড়া রাখলে সমাধান পেতে পারেন।
৬। খাবারে অরুচি যাদের রয়েছে, তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং দুপুরে খাবারের পর লবঙ্গ গুড়া খেলে খাবারে রুচি ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
৭।হজমের সমস্যায় লবঙ্গ গুড়া ভালো সমাধান হতে পারে। নিয়মিত লবঙ্গ খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
৮। লবঙ্গ শরীরে ইনসুলিন তৈরি করতে সাহায্য করে। যার ফলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়ক হবে।
৯। লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতে লবঙ্গ গুড়ার অবদান রয়েছে। ত্বকের সংক্রমন সাড়াতে এবং শরীরের ফোলা কমাতে লবঙ্গ গুড়া দারুন ভুমিকা রাখতে পারে।
১০। ক্যান্সার প্রতিরোধে লবঙ্গ গুড়া সহায়তা করে থাকে। নিয়মিত লবঙ্গ খেলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
লবঙ্গ গুড়ার (কারানফুল ) ব্যবহারঃ
১। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এবং সুঘ্রান তৈরি তে লবঙ্গ গুড়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
২। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নিয়মিত খাদ্যতালিকায় লবঙ্গ গুড়া রাখা যেতে পারে।
৩। দাতের স্বাস্থ্য রক্ষায় নিয়মিত খাদ্য তালিকায় লবঙ্গ গুড়া রাখা যেতে পারে।
৪। ঠান্ডা রোগ থেকে সমাধান পেতে লবঙ্গ গুড়া সেবন করা যেতে পারে।