সরোবরের মরিচ গুড়ার বিশেষায়িত নাম হলো হারিফ।কাঁচা মরিচ সাধারণত আমরা আমাদের খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করে থাকি।মরিচের গুড়া ভারতীয় উপমহাদেশে রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। অনেক আগে থেকেই মরিচের আয়ুর্বেদিক ব্যবহার হয়ে আসছে।পাশাপাশি মরিচের গুড়ায় অনেক ওষুধী গুনাগুন রয়েছে। এতে রয়েছে ক্যাপসাইকিন নামক উপাদান যেখান থেকে ঝাঁঝালো স্বাদ টি এসেছে।
উপাদানঃ
মরিচে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, বি-৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং খুবই সামান্য পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট।
মরিচ গুড়ার (হারিফ) উপকারিতাঃ
১। মরিচে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যেটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অবসাদ এবং ক্লান্তি ভাব দূর করতে মরিচ দারুন ভুমিকা রাখতে পারে।
২। মরিচে কিছু উপাদান রয়েছে যেটি গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে অত্যন্ত সহায়ক।
৩। মরিচে প্রচুর পরিমান এ ভিটামিন বি, সেলিনিয়াম, কারকিউমিন, এবং বেটা-ক্যারোটিন রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৪। সর্দি, কাশি ও ঠান্ডায় মরিচ দারুন সহায়ক।
৫। দাত ও মুখের স্বাস্থ্যে মরিচের ভুমিকা রয়েছে। মরিচে থাকা উপাদান দাত ও মুখের স্বাস্থ্য বিশেষভাবে অবদান রাখে।
৬। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত মরিচ খেলে ভালো ফল পেতে পারে।
৭। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে মরিচের ভুমিকা অনেক। মরিচে থাকা প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে।
৮। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করতেও মরিচের ভুমিকা রয়েছে।
৯। হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যায় মরিচ দারুন উপকার প্রদান করে।
মরিচ গুড়ার (হারিফ) ব্যবহারঃ
১। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করতে মরিচ ব্যবহার করা যেতে পারে।
২। শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে মরিচ খাওয়া যেতে পারে।
৩। অবসাদ এবং ক্লান্তি নিরসনে মরিচ নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
৪। দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন মরিচ সেবন করা যেতে পারে।
৫। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে খাদ্য তালিকায় মরিচের গুড়া রাখা যেতে পারে।
৬। সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডায় সুরক্ষা পেতে মরিচের গুড়া নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।