Awareness

গাছ লাগানো উত্তম সাদাকায়ে জারিয়া

কখনও কী মনে হয়েছে ইট-পাথর-কংক্রিটের এই শহরগুলোতে কেন গাছ দরকার?
মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রথম কারণ হওয়া উচিত রাসুল(সা.) বলছেন তাই- আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে জানো যে কিয়ামত এসে গেছে, তখন হাতে যদি একটি গাছের চারা থাকে, যা রোপণ করা যায়, তবে সেই চারাটি রোপণ করবে। ’ (বুখারি, আদাবুল মুফরাদ: ৪৭৯)
এবার একটু ভাবা যাক আমাদের নিজেদের কিছু উপকারের কথা:
– গাছ বর্ষার পানিকে পাতায় ধারণ করে। শেকড় দিয়ে শুষে নেয়। শহরের ড্রেইনেজ ব্যবস্থার ওপর চাপ কমায়।
– রাস্তার শব্দের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে – শব্দ দূষণ কমায়।
– সম্পত্তির দাম বাড়ায়। শহরের অভিজাত এলাকার রাস্তাগুলোর চারপাশে দেখবেন বড় বড় গাছ আছে। আর যেখানে ঘিঞ্জি করে গায়ে গায়ে বাড়ি বানানো হয়েছে, রাস্তায় গাছ লাগানোর জন্য একটুও জায়গা ছাড়া হয়নি সেই এলাকাতে বাড়ি ভাড়া কম, সেখানের জমির দামও তুলনামূলকভাবে কম।
– গাছের ছায়া গরম থেকে, উত্তাপ থেকে মানুষকে বাঁচায়। এয়ারকন্ডিশনের চাহিদা কমায়।
– পাখির ডাক, কিংবা দুরন্ত কাঠবেড়ালি – গাছ নেই তো এদের দেখাও নেই।
– ঝড়োবাতাসের লাগাম ধরে ক্ষয়ক্ষতি কমায় গাছ।
– সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি থেকে পথচলতি মানুষের নিরাপত্তা দেয় গাছ।
– বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড গাছ জমা করে তার পাতায়, কাঠে, শেকড়ে। তাপমাত্রা কমে পরিবেশের। নিঃশ্বাসে পাওয়া যায় অক্সিজেন।
– শহরের বায়ুদূষণের অনেকগুলো উপাদানকেই গাছ শুষে নেয় – পাতার মাধ্যমে। অথবা বৃষ্টিতে ধুয়ে গেলে শেকড়ের মাধ্যমে।
গাছ লাগানো উত্তম সাদাকায়ে জারিয়ার মধ্যে একটি। আপনার লাগানো গাছ যতদিন মানুষকে উপকৃত করবে ততদিন আপনি আল্লাহর কাছে এর বিনিময় পেতে থাকবেন। এমনকি মৃত্যুর পরেও।
এখনও সময় আছে। শহরগুলোকে বাঁচাতে চাইলে আজই একটি গাছ লাগান।